আহমেমদ কবীর সিকদার, কুতুবদিয়া::
চলমান কঠোর লকডাউনে চরম বিপাকে পড়েছে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার খেটে খাওয়া মানুষ।করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সারা দেশের ন্যায় কুতুবদিয়ায়ও চলছে কঠোর লকড়াউন।
উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে লকডাউন বাস্তবায়নে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য দ্রব্যের দোকান ছাড়া অন্যান্য সব দোকান বন্ধ রাখা হচ্ছে।সাধারণ মানুষকে সুরক্ষায় রাখতে দ্বীপের প্রধান দু’টি বাজার ,পারাপার ঘাট ও বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ নৌ-বাহিনীর টহলের পাশাপাশি চেক পোস্টে নজরদারী বাড়ানোর হয়েছে। লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিনা কারণে ঘর থেকে বের হলেই জরিমানা গুনতে হচ্ছে ভ্রাম্যমাণ আদালতের।
সরকার ঘোষিত গত ১লা জুলাই থেকে সাত দিন ব্যাপী কঠোর লকডাউন ঘোষনার ভেতরে করোনার পরিস্থিতির কোন অবনতি না হওয়ায় সোমবার ৫-জুলাই চলমান লকডাউনের সময়সীমা আরো সাত দিন বাড়িয়ে আগামী ১৪-জুলাই পর্যন্ত বলবৎ থাকবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি করেছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
এদিকে কড়াকড়ি লকডাউনের খবর দ্বীপের অলি গলিতে ছড়িয়ে পড়ার পরে হতাশ হয়ে পড়ছেন বড় বড় ব্যবসায়ী মহল,দিন মজুর,গাড়ী চালক,খুচরা ব্যবসায়ী ও খেটে খাওয়া মানুষ।থেমে গেছে শ্রমের বিনিময়ে রোজগারের চাকা। গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পরিবহণ শ্রমিকরা।যার ফলে বিপাকে পড়েছে এসব খেটে খাওয়া মানুষ।
উপজেলার উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের দিন মজুর নুরুন্নবী জানান, সরকার লকডাউন ঘোষনা করার পর থেকেই কোথাও কাজ কর্ম মিলছে না। তিন বেলা খাওয়ার জন্য চাল,ড়াল,তরকারি কেনার টাকাও রোজগার করা যায় না কোন মতেই।সংসারে ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে খুব কষ্টে জিবনযাপন করছি।
বড়ঘোপ বাজারের বৃদ্ধ এক রিক্সা চালক বলেন, কোস্ট ট্রাস্ট থেকে ঋণ নিয়ে অটো-রিক্সা কিনেছি। লকডাউনে সাপ্তাহিক কিস্তি পরিশোধ করতে পারি না। রাস্তায় বের হলে ভ্রাম্যমান আদালতের জরিমানা।লকডাউনের কারণে বিগত এক সপ্তাহ যাবৎ খুব আতঙ্কে গাড়ি নিয়ে রাস্তায় বের হচ্ছি। কিন্তু কড়াকড়ি লকডাউনের কারণে সাধারণ মানুষ বাইরে বের না হওয়ায় ভাড়ায় যাত্রীও তেমন মিলে না। প্রতিদিনের চাহিদা মেটাতে ২০০টাকার অধিক খরচ তার। লকড়াউনে সাংসারিক এ চাহিদা মেটানোর টাকা সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় সে।
একই এলাকার ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, লকডাউনের কারণে দীর্ঘদিন দোকান বন্ধ রয়েছে। দোকানে নিয়োজিত কর্মচারীদের বেতন দিতে পারছি না।এভাবে লকডাউন চলতে থাকলে ব্যবসায় প্রতিষ্টান অচল হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।
পাঠকের মতামত: